শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

ঈদ শেষে দৌলতদিয়া ঘাটে বাড়ছে কর্মমূখী মানুষের চাপ

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, ০১:২৯

পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন শেষে বুধবার কর্মমুখী মানুষ ফিরতে শুরু করেছে কর্মস্থলে। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মমুখী মানুষের পদচারনায় মুখরিত দৌলতদিয়া ঘাট। এতে করে ভীর বাড়ছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে। গন পরিবহনের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছোট গাড়ী মোটর সাইকেল,মাহিন্দ্র ব্যাটারিচালিত অটো রিক্সায় পায়ে হেটে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে ঢাকামুখি মানুষ। 

বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল থেকে সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায় সময় বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ঢাকামুখি যানবাহনের চাপ। পাশাপাশি যাত্রীদের চাপও বাড়ছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে। এদিকে বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দৌলতদিয়া ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় আটক পড়ে শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকার পরও সীমিত সংখ্যক ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো নদী পারের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘণ্টা দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে থাকতে হচ্ছে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরি ঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও ফেরিতে যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক মোটর সাইকেল পারাপার হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকলে যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই কর্মস্থলে ফিরতে পারতেন। এদিকে যানবাহনের চাপ কম থাকার দোহাই দিয়ে পর্যাপ্ত ফেরি থাকা সত্যেও মাত্র ১২টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

দৌলতদিয়া প্রান্তের ফেরি ঘাট এলাকা।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে বেশ কয়েকজন কর্মস্থল-গামী যাত্রীর সাথে কথাবল্লে তারা অনেকেই জানান, পরিবারের সাথে ঈদ করে কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকায় ফিরছি, গনপরিবহনসহ ছোট গাড়ীতে কর্মস্থলে যাবার উদ্দেশ্যে ঘাটে এসে পৌঁছেছি। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পেরে ভাল লেগেছে। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাটে কোন ভোগান্তি নাই, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার এ ঘাট দিয়ে পারাপারে আর কোন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছেনা। তাছাড়া আগের মত ৭/৮ ঘণ্টা সিরিয়ালে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না তারপরও ফেরি কম থাকায় অনেক সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে তীব্র গরমে এখন এক/দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

বাস চালকরা জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে আগের মত আর ভোগান্তি না থাকলেও টিসি কর্তৃপক্ষে গাফিলতিতে ভোগান্তি রয়েই গেছে। ফেরির সংখ্যা কম থাকায় এখন দেড় থেকে দুই ঘন্টা ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম মো. খালেদ নেওয়াজ ইত্তেফাককে জানান, সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কম থাকায় ১২টি ফেরি যানবাহন পারাপার করেছে। দৌলতদিয়া নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি আছে বলে জানালে তিনি বলেন, আমি এখনি বলে দিচ্ছি, রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো জন্য।

 

 

ইত্তেফাক/ইআ