কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে গরুতে ধানের চারা খাওয়ার অভিযোগে এক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে পিএমখালী ইউনিয়নের উত্তর নয়াপাড়ার নাপিতাপাহাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার প্রতিবন্ধী নুর আহম্মদ ওরফে গুরা মিয়া (৭০) উত্তর নয়াপাড়া গ্রামের মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে। তাকে আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গুরা মিয়ার স্বজনরা জানান, শনিবার বাড়ির পাশের পানের বরজ দেখাশোনা করতে যান গুরা মিয়া। বেলা ১১টার দিকে তার পানের বরজের কাছে এসে মুক্তারকুল এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে হায়দার আলী মিন্টু অভিযোগ করেন- গুরা মিয়ার গরু তাদের ধানের চারা খেয়েছে। গুরা মিয়া বিষয়টি অস্বীকার করতেই তাকে চড়-থাপ্পড় দেন মিন্টু। গুরা মিয়া প্রতিবাদ করায় ক্ষেপে যান মিন্টু। পরে অন্যদের ডেকে এনে গুরা মিয়াকে মারধর করা হয়। মিন্টুর বড় ভাই টিপু সুলতান ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হওয়ায় ভয়ে বৃদ্ধকে রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্বজনরা এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। দরিদ্র বৃদ্ধকে হাসপাতালে আনার টাকাটাও এলাকাবাসী চাঁদা তুলে সরবরাহ করেছে বলে জানান স্বজনরা।
আহত গুরা মিয়ার মেয়ে সেলিনা আকতার বলেন, আমাদের কোনো ভাই নেই। আর বাবা পা প্রতিবন্ধী। গরু ধানের চারা খাওয়ার অজুহাতে আমাদের পানের বরজে এসে টিপু চেয়ারম্যানের ভাই মিন্টু বাবাকে কিল-ঘুষি ও লাথি দিয়ে আহত করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত হায়দার আলী মিন্টু ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান বলেন, আমার ভাই মিন্টু পিএমখালীতে খামার ও চাষাবাদ করেন। সেখানে গরু লাগিয়ে দিয়ে ধানের চারা খাইয়েছেন নুর মুহাম্মদ ওরফে গুরু মিয়া। সেটার প্রতিবাদ করায় আমার ভাইয়ের কর্মচারীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন গুরা মিয়া। তা শোনার পর ঘটনাস্থলে গেলে মিন্টুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। এরপর রাগের বশে কয়েকটি থাপ্পড় দেয় মিন্টু।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো থানায় আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।