শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাতে সরকারি বই পাচার সন্দেহে আটক ১ 

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ১২:৫৫

যশোরের অভয়নগরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বই পাচারকালে বাবুল খান (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। 

রবিবার (২৪ জুলাই) রাত আনুমানিক ৯টার সময় উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে যশোর-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন এলবি টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে সরকারি বই পাচার সন্দেহে আটক করা হয়। আটক বাবুল খান টাঙ্গাইল জেলার নাগপুর থানার সলিমাবাদ গ্রামের মৃত সাদিক আলী খানের ছেলে। 

আটক বাবুল খান জানান, তিনি বিভিন্ন কোম্পানির বই সরবরাহের কাজ করেন। রবিবার সন্ধ্যায় অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক খালিদ হোসেন তাকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আসতে বলেন। যথা সময়ে তিনি অফিসে পৌঁছালে খালিদ হোসেন তাকে একটি ভ্যান আনতে বলেন। পরে ভাড়া করা ভ্যানে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ৯ম ও ১০ শ্রেণির নতুন ২৫টি উচ্চতর গণিত বই, একই শ্রেণির ৭৪টি ভূগোল ও পরিবেশ বই, ৩৯টি বিজ্ঞান বই, ২৫টি রসায়ন বই, ২৯টি বাংলাসাহিত্য বই, ২৫টি পদার্থ বিজ্ঞান বই, ১৪টি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসাহিত্য বই, ৩৫টি গণিত এবং ষষ্ঠ শ্রেণির ৫২টি চারুপাঠ বইসহ মোট ৩১৮টি বই যশোর জেলা শিক্ষা অফিসে পৌঁছে দিতে বলেন। রাতে বইগুলো নিয়ে নওয়াপাড়া রাজারে এলবি টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে জনগণ ভ্যানসহ তাকে আটকে অভয়নগর থানা পুলিশে খবর দেয়। বই পাচারের বিষয়ে বাবুল খান নিজেকে নির্দোশ দাবি করেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক খালিদ হোসেন বই পাঠানোর কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘বাবুল খান নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তবে তার কাছে থাকা বইগুলো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নয়।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, জেলা শিক্ষা অফিসে বই পাঠানোর কোনো নির্দেশনা নেই। অফিস ছুটির পর যদি কিছু ঘটে থাকে, তা না জেনে বলা মুশকিল। 

অভয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, ‘ভ্যানভর্তি ৩১৮টি নতুন বই উদ্ধার করা হয়েছে। বই পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানজিলা আখতার বলেন, ‘উদ্ধারকৃত বই থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ইত্তেফাক/মাহি