দক্ষিণ কোরিয়ায় সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মহামারি করোনাসভাইরাসে নতুন করে ৯৯ হাজার ৩২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে দেশটিতে কোবিড-১৯ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬৪ জনে দাঁড়ালো। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ কথা জানায়।
সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, কোরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা (কেডিসিএ) জানায়, আগের দিনের চেয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। দেশটিতে আগের দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫হাজার ৮৮৩ জন। গত সপ্তাহজুড়ে প্রাত্যহিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৯হাজার ৩৩৭ জন।
খবরে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ৩৫৩ জন বিদেশ ফেরত রোগি রয়েছেন। এনিয়ে বিদেশ ফেরত রোগির সংখ্যা বেড়ে মোট ৪২হাজার ১৯৬ জনে দাঁড়ালো। এদিকে সর্বশেষ আক্রান্ত রোগিদের মধ্যে ১৬৮ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আগের দিনের চেয়ে এ সংখ্যা ২৪ জন বেশি।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় এ মহামারিতে নতুন করে আরও ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২৪হাজার ৯০৭ জনে দাঁড়ালো। বর্তমানে এ দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হার ০.১৩ শতাংশ।
সার্জারি সরঞ্জাম এবং জরুরী জীবন রক্ষাকারী ওষুধ প্রায় শেষ। পাশাপাশি চলমান পেট্রল সংকটে চিকিৎসার জন্য রোগি এবং চিকিৎসক উভয়ই ভ্রমণ করতে পারছেন না।
সরকারি মেডিক্যাল অফিসারদের সংগঠনের এক সদস্য ডা. ভাসান সিংহাম এএফপি’কে বলেছেন, ‘অস্ত্রপাচারের জন্য নির্ধারিত রোগীরা রিপোর্ট করছেন না।’
তিনি বলেন, ‘কিছু মেডিক্যাল কর্মী ডাবল শিফটে কাজ করেন কারণ অন্যরা ডিউটিতে আসতে পারছেনা। তাদের গাড়ি আছে, কিন্তু জ্বালানি নেই।’
শ্রীলঙ্কা তার ৮৫ শতাংশ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করে। বাকি চাহিদা পুরণের জন্য তাদের কাঁচামাল আমদানি করতে হয়।
কিন্তু দেশটি এখন দেউলিয়া এবং বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পর্যাপ্ত পেট্রল আমদানি করতে পারছেনা। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী আমদানি করতে পারছেনা।