দুনিয়াজুড়ে ক্রমশ বাড়ছে মুখ, জিভ থেকে গলা, এমনকি স্বরযন্ত্রের ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা। গেলো ২৭ জুলাই ছিল বিশ্ব ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যানসার দিবস। দেশে মাথা ও গলার ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা কমাতে সবার আগে দরকার সচেতনতা। একই সঙ্গে বন্ধ করতে হবে তামাকের ব্যবহার।
মুখ, গলা, স্বরযন্ত্র, থাইরয়েড গ্রন্থি, লালাগ্রন্থি, নাক ও নাসিকা গহ্বর, মুখ গহ্বরের শেষ প্রান্ত, খাদ্যনালির উপরিভাগ, খুলির নিচের অংশের মরণব্যাধি রোগ ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যানসারের মধ্যে পড়ে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষকে মুখ, স্বরযন্ত্র ও থাইরয়েড গ্রন্থির ক্যানসারে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে ঠোঁট, জিভ, মাড়ি, চোয়াল, জিভের নিচের অংশে অনেক সময়ই ঘা হলেও তা শুকাতে চায় না। কিংবা গজিয়ে ওঠতে পারে টিউমারের মতো মাংসপিণ্ড। দাঁত নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। জিভে সাদা বা লাল ছোপও দেখা যায় অনেক সময়। কিন্তু মানুষ সেগুলোকে উপেক্ষা করেন। প্রায় ৯০ শতাংশ মুখের ক্যানসারের সঙ্গে তামাক ব্যবহারের সম্পর্ক রয়েছে। তামাক সেবন যেমন ক্ষতিকর, তেমনই তামাক ও সুপারিজাত দ্রব্য চিবোনোর ফলে মুখের ভেতরে ‘সাব মিউকাস ফাইব্রোসিস’ হয়। তাতে মুখের হাঁ ছোট হয়ে যায়। মুখ খুলতেই ব্যথা করে।
ধোঁয়াযুক্ত ও ধোঁয়া ছাড়া তামাক ব্যবহার, প্রতিনিয়ত মদ্যপান, অত্যধিক সুপারির ব্যবহার মুখ ও স্বরযন্ত্রের ক্যানসারের বড় কারণ। কিন্তু তামাকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ক্যানসারের ৭০ শতাংশ তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে গিয়ে ধরা পড়ে। অধিকাংশ রোগীরা প্রথম দিকে চিকিৎসার বিষয়ে ভুল পথ অবলম্বন করেন। তাই সচেতনতা খুব বেশি প্রয়োজন। না হলে ওই পর্যায়ে ক্যানসার পৌঁছে যাওয়ায় বহু রোগীর প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়।