শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঘিওরে বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যুৎ অপচয়

সড়কে বাতি জ্বলে সারা দিন

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২২, ০২:৪২

বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে দেশ জুড়ে লোডশেডিং ও রাত ৮টায় মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু এসব নির্দেশনা মানছে না ঘিওরের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও ব্যবসায়ীরা। এ অঞ্চলের সাইনবোর্ডে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবহার হচ্ছে অবিরত। সরকারি ভবনের সীমানা দেওয়াল ও সড়কের বাতিগুলোও জ্বলে থাকে সারা দিন। গত কয়েক দিন ধরেই এ অব্যবস্হাপনা দেখা যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় থেকে বের হবার সময় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বেশ কয়েকটি বাতি জ্বালিয়ে অফিস তালা দিয়ে চলে যান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার খুলবে এই অফিস। ততদিন জ্বলে থাকবে বাতিগুলো। এ ছাড়াও দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তরে অহেতুক বাতি জ্বলে থাকতে দেখা গেছে।

উপজেলা সদর, বানিয়াজুরী, নালী, বড়টিয়া, সিংজুরী, পয়লা, বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাজার ও স্টেশনে অবস্থিত মুদি মনোহারি, হোটেলসহ বড় বড় ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল লাইটিং সাইনবোর্ড ও আলোকসজ্জায় ব্যবহৃত বাতি রাতভর জ্বালিয়ে রাখা হয়। এ ছাড়াও উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে বিদ্যুতের অপচয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে এসব কার্যালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউই কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

বিদ্যুতের অপচয়ের ব্যাপারে উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘সম্প্রতি আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রাতে লাইট জ্বালিয়ে রাখি। তবে দিনের বেলায় হয়তো অসাবধানতাবশত কোনো কর্মচারী এই বাতিগুলো জ্বালিয়ে থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে আমি অফিসের সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।’

কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিনই একই অবস্থা চোখে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। ঘিওর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম মাহবুবুর রশিদ বলেন, রাতে নিজ দপ্তরের লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়ে বিদ্যুৎ অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন।

ইত্তেফাক/এএইচপি