গুচ্ছভুক্ত ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ক' ইউনিটে উপস্থিতি ছিল ৯৫ শতাংশ। শনিবার (৩০ জুলাই) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ৯ টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯টি কেন্দ্রে ‘ক’ ইউনিটে নয় হাজার এগারো জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় আট হাজার পাঁচশত পঁয়ত্রিশ জন ভর্তিচ্ছু, অনুপস্থিত ছিল চারশো ছিয়াত্তর জন। উপস্থিতির হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং অনুপস্থিত ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন মো. সাইফুর রহমান।
পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, টিটিসি, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড সরকারি মডেল কলেজ, শালবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ক্যান্টনমেন্ট কলেজসহ কুমিল্লার মোট ৯টি কেন্দ্রে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এছাড়া গুচ্ছ প্রশ্নপত্রের লেখা ছোট ও হিজিবিজি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী।
রাইসা নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, রাফ করার জন্য প্রশ্নপত্রে কোন জায়গা ছিল না। এতে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের উত্তর বের করতে অসুবিধা হয়েছে। রুমগুলোতে আলোর স্বল্পতা ছিল।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমরা ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে ট্রাফিকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়। তাছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটও রয়েছেন। পাশাপাশি রোভার স্কাউটস এবং বিএনসিসি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।