বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ ও অবরোধ 

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১৩:৫৭

দীর্ঘ ৩ বছরের অপেক্ষার পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের। রবিবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি আন্দোলনে নেমেছেন পদবঞ্চিতরা। ডেকেছেন অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ। 

একই ঘটনায় সোমবার (১ আগস্ট) সকালে অবরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপহরণ করা হয়েছে ট্রেনের গার্ড ও লোকো মাস্টারকে। সকাল থেকে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষকদের কোনো বাস শহরে যেতে পারেনি। বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাসে রিকশা ও সিএনজি চলাচলও। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে, কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান নেতারা কমিটি গঠনের ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা করছেন। তাদের অনেকে এটাকে ‘ঢাউস কমিটি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি পদ প্রাপ্ত শায়ন দাশ গুপ্ত বলেন, যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে শুরু থেকে জড়িত ছিলেন তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে এ কমিটিতে বাহিরের অনেকেই পদ পেয়েছেন। আমরা এ কমিটি মানি না।

আন্দোলনকারী ছাত্রলীগ নেতা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ কমিটিতে জ্যেষ্ঠতা রক্ষা হয়নি। রাজপথের নিবেদিত কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে আছে অছাত্র ও বিবাহিতরা। অনেকে টাকার বিনিময়ে পদ পেয়েছেন। এসব কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবরোধের ডাক দিয়েছি। কমিটিতে মাঠের প্রকৃত কর্মীদের অন্তর্ভুক্তের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ থাকবে।

নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে ট্রেন ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ষোলশহর স্টেশন মাস্টার তন্ময় চৌধুরী বলেন, 'অবরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ঝাউতলা রেলস্টেশন থেকে আমাদের এক লোকো মাস্টার ও গার্ডকে অপহরণ করা হয়েছে।

রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৭৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সংসদ। এরপর রাত থেকে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশা অনুযায়ী পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা আন্দোলন শুরু করেন।

ইত্তেফাক/কেকে