ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে ত্রাস সৃষ্টির জন্য সন্ত্রাসীরা আটটি হিন্দু বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এতে আহত হয়েছে নারীসহ অন্তত ১৫ জন। গত রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, এ গ্রামে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাস। গ্রামে দুটি দল আছে। তাদের মধ্যে শত্রুতাও আছে। গত সাত দিন আগে পার্শ্ববর্তী বগুড়া গ্রাম থেকে কয়েক জন সন্ত্রাসী এসে মহড়া দেয়। এ সময় গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের আটকের পর মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এরই জের ধরে গত রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঐ গ্রামে বগুড়া এলাকা থেকে ফের ৪০-৫০ সন্ত্রাসী এসে বেছে বেছে আটটি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত হয় নারীসহ ১৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গৃহবধূ সন্ধ্যা রানী বলেন, সন্ত্রাসীরা তার ছেলের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং লুট করে। ছেলেকে পিটিয়ে জখম করেছে।
আরেক গৃহবধূ শিখা রানী বলেন, মাঝেমধ্যেই বাইরের গ্রাম থেকে সন্ত্রাসীরা এসে চাঁদা দাবি করে। হামলার সময় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সুনীল মণ্ডল, দীপক মণ্ডল, ভরত মণ্ডল, জ্ঞানেন্দ্র মণ্ডল, উত্তম বাইন, সজল বারই, দেব কুমার ও বিকাশ কুমারের বাড়িতে হামলা হয়েছে।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে ঐ গ্রামে একটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। কী কারণে বাইরের গ্রাম থেকে আসা লোকজন হামলা করল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শৈলকুপা আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাই বলেন, হিন্দু বাড়িতে হামলা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি পুলিশকে অবিলম্বে অপরাধীদের ধরতে বলেছেন।