শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিক্ষা উপমন্ত্রীর আশ্বাসে চবির আন্দোলন স্থগিত 

আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২২, ১৯:১২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে রবিবার দিবাগত রাত ১ টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ চলছিল মঙ্গলবার বেলা ১১ টা পর্যন্ত। টানা ৩৪ ঘন্টার অবরোধে স্থবির ছিল ক্যাম্পাস। 

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে 'বিক্ষোভরত ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া প্রয়োজন' উল্লেখ করে একটি পোস্ট দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন আন্দোলনরত পদবঞ্চিতরা। 

শিক্ষা উপমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ছাত্র সংগঠনের পদপদবির বিষয়ে কোনও দাবি-দাওয়া থাকলে সংগঠনের যেকোনও কর্মী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। কোনও সাংগঠনিক দাবি থাকলে সেটি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সমাধান করা যায়। কিন্তু সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করা, ভাঙচুর করা, অপহরণ করা, হত্যার হুমকি দেওয়া কোনোভাবেই ছাত্র সংগঠনের আদর্শ কর্মীর কাজ হতে পারে না। যারা এসব করছে তারা নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থেই অরাজকতা করছে। তাদের কাছে সংগঠন বা শিক্ষার মূল্য আছে বলে মনে হয় না। নিজেদের সাংগঠনিক দাবিতে যারা সহিংসতা করছে, তাদের বিষয়ে সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অত্যন্ত কঠোর হওয়া প্রয়োজন।’

শিক্ষা উপমন্ত্রীর এমন পোস্টের পর শিক্ষা উপমন্ত্রী বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। 

এদিকে ছাত্রলীগের টানা অবরোধে ২য় দিনও চলেনি কোনো শিক্ষক বাস। ক্যাম্পাসে আসেনি শাটল ট্রেনও। ফলে কার্যত অচল ছিল ক্যাম্পাস। ষোলশহর স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় চৌধুরী দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় শাটল চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

ছাত্রলীগের অবরোধে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষণা না থাকায় অনেকে বাসে করে পৌঁছান ক্যাম্পাসে। কিন্তু ক্লাস পরীক্ষা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী শাহনাজ ঝুমু বলেন, সামনে পরীক্ষা। এভাবে ক্লাস মিস হলে পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে৷ এভাবে আমরাও পিছিয়ে পড়বো। বাংলা বিভাগের তাহমিনা আক্তার বলেন, ট্রেন বন্ধ। অনেক কষ্টে শহর থেকে এসে দেখি ক্লাস হবে না। শোনেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। 

এদিকে হল ভাংচুর, গেট বন্ধ করা এবং ট্রেন মাস্টারকে অপহরণের জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, কারা এসবের সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে৷ জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

ইত্তেফাক/এআই