বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন ইমরান খান

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২, ০২:২২

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইমরান খানের দল বিদেশ থেকে বেআইনি অর্থ পেয়েছে। এর জেরে নিষিদ্ধ হতে পারে ইমরানের দল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দল পিটিআই জানিয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিএমএন-এলের প্রধান নওয়াজ শরিফ দাবি করেছেন, ইমরানের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তিনি বলেছেন, প্রমাণ হয়ে গেছে, ইমরান খান হলেন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চোর।

  • কমিশন কী জানিয়েছে?

অভিযোগ হলো, ইমরানের দল বিদেশ থেকে অর্থ পেয়েছে, যা পাকিস্তানের আইনের বিরোধী। পাকিস্তানের মিডিয়া জানিয়েছে, কমিশনের তিন সদস্যের ট্রাইবুন্যালের সিদ্ধান্ত হলো, ইমরানের দল ৩৪টি বিদেশি সংস্থা বা ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ পেয়েছে। তারা কমিশনের কাছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিয়ে ভুয়া হলফনামা দিয়েছে। তারা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কথা গোপন করেছে। এই অ্যাকাউন্টের ঘোষণাও তাদের করা উচিত ছিল। তারা ইমরানের দল পিটিআইয়ের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে, কেন তাদের তহবিল সিজ করা হবে না? পিটিআই জানিয়েছে, প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, যা কোনোভাবেই বেআইনি নয়।

  • কী হতে পারে?

আইন বিশেষজ্ঞ ওসামা মালিক জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চেভেলেকে বলেছেন, পাকিস্তান সরকার এখন পিটিআইকে বিদেশি অর্থে চলা রাজনৈতিক দল হিসাবে ঘোষণা করতে পারে। তবে তাদের সুপ্রিম কোর্টের কাছে বিষয়টি পাঠাতে হবে। সর্বোচ্চ আদালত ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মালিক জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিআই আদালতে যেতে পারে।

  • এবার কী হবে?

প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ইমরান খান দেশ জুড়ে প্রচার চালিয়ে বলেছিলেন, শাহবাজ শরীফ সরকারকে বিদেশি শক্তিগুলো ক্ষমতায় এনেছে। তিনি বিদেশি শক্তির বিরোধিতা করেছিলেন বলে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল। ইতিমধ্যে পাকিস্তানে জিনিসের দাম হুহু করে বেড়েছে। বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। রুপির দাম কমেছে, ঋণের বোঝায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফ সরকারের হাতে একটা অস্ত্র এসে গেল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। নির্বাচন কমিশনের রায়ের ফলে ইমরান খানের অবস্থা খারাপ হবে বলে ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা মনে করছেন। —ডয়চেভেলে

ইত্তেফাক/ইআ