বঙ্গোপসাগরে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) এর অভিযানে ৬ জন মিয়ানমার নাগরিকসহ ৯ জনকে আটক করেছে। এসময় ১লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোর রাতে বঙ্গোপসাগরের উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন তিনি জানান, গোয়েন্দা সূত্রে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল নিশ্চিত হয় যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ পন্থায় ডাঙ্গায় মোটা অংকের টাকা লেনদেন করবে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে এবং এক পর্যায়ে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করার সময় হাতেনাতে পুরো চক্রটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটকরা হল-টেকনাফ ২৬ নং নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত জাফর আমানের আলী উল্লাহ(৫০),টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়া ওসমান গণির ছেলে জিয়াবুল হোসেন(২১), জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, সি ব্লকের, ক্যাম্প সি-৪ এর মৃত ফজল আহম্মেদের ছেলে আবু তাহের (৪০)মিয়ানমার আকিয়াব জেলার মেহেরকুল এলাকার মো.শফিকের ছেলে মোঃ ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩),আমিন হোসেনের ছেলে এনামুল হাছান (২০),হাফেজ আহম্মদের ছেলো নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২১),সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে সাদেক (২২)।
আটককৃতরা জানায়, তারা সকলেই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সাথে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা গভীর সমুদ্র পথকেই মাদক কেনা-বেচায় নিরাপদ পন্থা বলে মনে করেছিল।