বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুতের চালু থাকা ইউনিটও বন্ধের শঙ্কা 

আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২২, ১৭:১৭

আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে মধ্যে কয়লা পাওয়া না গেলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে চালু থাকা একমাত্র ইউনিটটিও বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে মধ্য আগস্টের আগেই বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ প্রচেষ্টায় ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ও কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়েই বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চালু একমাত্র ইউনিট থেকে গড়ে ১৮০-২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর পুরোটাই চলে যাচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। 

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এসএম ওয়াজেদ আলী সরদার বলেন, ‘চলতি বছরের ১ মে কয়লাখনির ১৩১০ নম্বর ফেইজ (কুপ) পরিত্যক্ত হওয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়। তখন থেকে মজুদকৃত কয়লা দিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। কয়লা স্বল্পতার কারণে বর্তমানে তিনটির মধ্যে একটি ইউনিট চলছে। গত ২৭ জুলাই দীর্ঘ ৮৭ দিন পর ১৩০৬ নম্বর নতুন ফেইজ থেকে পরীক্ষামূলক কয়লা উত্তোলন শুরু করে খনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ৩৪ জন চীনা শ্রমিকসহ ৫২ জন শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হলে তিনদিনের মাথায় আবারো বন্ধ হয়ে যায় উত্তোলন।’

ওয়াজেদ আলী সরদার আরও বলেন, ‘তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মজুদকৃত কয়লা দিয়ে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এরমধ্যে খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু না হলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চলমান একমাত্র ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হওয়ার শঙ্কা দেখা দেবে। মধ্য আগস্টের আগেই বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ প্রচেষ্টায় কয়লা উত্তোলনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। কয়লা উত্তোলন শুরু হলেই মধ্য আগস্টের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা কেটে যাবে। আমরা আশাবাদী খুব শিগগিরই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন হবে।’

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘দীর্ঘ ৮৭ দিন পর ঠিকঠাকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হলেও খনিশ্রমিকদের মাঝে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় তিনদিন পর তা আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় কয়লা উত্তোলন শুরু প্রক্রিয়া চলছে। শিগগির বাইরের শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষার মাধ্যমে কাজে যোগদান করিয়ে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে।’

ইত্তেফাক/মাহি