বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

পর্যটকের ‘লুঙ্গি পরা’ নিয়ে বাকবিতণ্ডা 

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১১:০১

কক্সবাজারে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা জাহিদ হাসান নামের এক পর্যটকের লুঙ্গি পরা নিয়ে তারকা মানের একটি হোটেলের গার্ডের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। এনিয়ে ‘লাঞ্ছনা’র অভিযোগ তুলেছেন ওই পর্যটক। তবে, একে দু’পক্ষের ভুল-বোঝাবুঝি বলে অবহিত করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। 

শুক্রবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর কলাতলীস্থ তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইসে এ ঘটনা ঘটে।

হোটেলের গেস্ট জাহিদ হাসান নামে ওই পর্যটক বলেন, ‘আমি বাঙালি হিসেবে লুঙ্গি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কিন্তু লুঙ্গি পরে হোটেল থেকে বের হতে গেলে নিরাপত্তাকর্মী কাউসার আহমেদ আবছার আমাকে লুঙ্গি পাল্টে আসতে বলেন। কেন আমার স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলা হলো, এনিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়।’ 

জাহিদ হাসান বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সামনে এ আচরণ ‘লাঞ্ছনা’র শামিল। তাই আমি ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে সহযোগিতা চেয়েছি। অবশ্য তারা আসার আগেই হোটেলের ফ্রন্ট অফিসের উর্ধ্বতনরা বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে দেখতে অনুরোধ করে ক্ষমা চেয়েছেন। পরে আমরা বাইরে থেকে ঘুরে আসি।’

তবে বিষয়টি নিয়ে ওশান প্যারাডাইসের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, ‘হোটেলে লুঙ্গি পরিহিত পর্যটক ‘লাঞ্ছনা’র ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছুই নয়। কারণ, লুঙ্গি পরা পর্যটক হোটেলে ঢুকতে বা বের হতে কোনো নিষেধের কথা গার্ড কিংবা অন্য স্টাফদের বলা নেই। এটা পর্যটন এলাকা-এখানে দৃষ্টিকুটু না হলে যে যার মতো অবয়ব নিয়ে চলাফেরা করতে পারেন, এটা পর্যটন স্বাধীনতা।’ 

‘সন্ধ্যার পর আমাদের অতিথি জাহিদ সাহেব লুঙ্গি পরে হোটেল থেকে বের হতে গিয়ে হোটেলের নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হয়। পরে ফ্রন্ট অফিস স্টাফদের হস্তক্ষেপে তা নিরসন হয় এবং পরিবার নিয়ে আনন্দে হোটেলে অবস্থান করছেন মি. জাহিদ’, বলেন আবদুল কাদের। 

পরিচালক আরও বলেন, ‘এটা সঠিক, হোটেলের সুইমিংপুলে গোসলকালীন লুঙ্গি, শাড়ি, বোরকা বা আলখেল্লা জাতীয় পোষাক পরে নামতে অনুৎসাহিত করি। কারণ, এসব আলখেল্লা পরে সাতার কাঁটতে গিয়ে বিপদের সম্ভাবনা থাকে।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘একজন পর্যটকের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকের সঙ্গে হোটেল কর্তৃপক্ষের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। স্টাফদের আরও পর্যটনবান্ধব করার মনোযোগী হতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।’  

পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় কাজ করছি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইত্তেফাক/মাহি