যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ড্রোন হামলায় গত রবিবার (৩১ জুলাই) আফগানিস্তানে আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়। পাকিস্তান এই হত্যার বিষয় নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে ঢুকে আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে যে হত্যা করেছে তা দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ক্ষেত্রে অভিযান বিরোধী।
গত সোমবার (১ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের ড্রোন হামলায় আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। রবিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে এই হামলায় তিনি নিহত হন।
আল-জাওয়াহিরি বিশ্বের অন্যতম দাগী সন্ত্রাসী। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র আসিম ইফতিখারকে এই হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তার কাছে দেশটির আকাশপথ ব্যবহার ও দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
আসিম ইফতিখার সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করে বলেন, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোন সম্পর্ক নেই। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
আসিম ইফতিখার আরও বলেন, এই হামলায় পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যাবহার করার কোন প্রমাণ নেই। এছাড়াও তাকে জিজ্ঞেস করা হয় দেশটি এ ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সমর্থন করে কিনা।
এর উত্তরে তিনি বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন এবং প্রাসঙ্গিক জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।
তিনি পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেন, এই সকল নিয়মের অধীনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি স্পষ্ট যে আল-কায়েদা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংস্থা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা শাসনের অধীনে তালিকাভুক্ত। এর জন্য নিরাপত্তা পরিষদ নির্ধারিত পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রগুলো বাধ্য।
আসিম ইফতিখার প্রতিবেদনে আরও জানান, পাকিস্তান অতীতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। সবসময় এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করেছে। আল-কায়েদার বিরুদ্ধে কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদান রয়েছে।