দীর্ঘ তিন মাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ আগস্ট মধ্যরাত থেকে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার, সংরক্ষণ ও পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জেলেদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকার বন্ধ খোলার বিষয়ে আলোচনাসভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্হাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম, জেলা মত্স্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, বাংলাদেশ মত্স্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) রাঙ্গামাটি নদী উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা লিপন মিয়া, মত্স্য ব্যবসায়ী উদয়ন বড়ুয়া, আব্দুর শুক্কুর, হারুন, মজিদ, মান্না সওদাগরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন বংশবৃদ্ধি, মজুদ এবং ভারসাম্য রক্ষার্থে সব ধরনের মত্স্য আহরণ ও পরিবহনের ওপর গত ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন। তবে হ্রদের পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি না পাওয়ায় গত ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার সময় ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে. বর্তমানে হ্রদে পানির পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। সার্বিক পরিস্হিতি বিবেচনায় রেখে ১৭ আগস্ট থেকে আহরণ শুরু হচ্ছে। কাপ্তাই হ্রদের মাছ শিকারে এবার নতুন কিছু নিয়ম করে দেওয়া হয়েছে। জালের দৈর্ঘ্য-প্রস্হ ও ছিদ্র কতটুকু রাখ যাবে, তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পোনা মাছ রক্ষা করা যাবে।
১৯৬০ সালে বিদু্যত্ উত্পাদনের লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দেওয়া হয়। এতে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘে্যর কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন প্রায় ২২ হাজার জেলে।