সাভারে সামিয়া আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে সামিয়ার স্বামী সাদনাম সাকিব হৃদয়কে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লা থেকে তাকে আটক করা হয়। হৃদয় সাভারের ব্যাংক কলোনি মহল্লার জাকারিয়া হোসেনের ছেলে। সামিয়া মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার মিজানুর রহমানের মেয়ে।
সামিয়ার মামা আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, ৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে সামিয়ার সঙ্গে হৃদয় হয়। বিয়ের সময় সামিয়ার বাবা ২৫ ভরি স্বর্ণের গহনা, মোটরসাইকেল ও তিন লাখ টাকার ফার্নিচার দেন। বিয়ের কিছুদিন পরই কৌশলে সামিয়ার গহনাগুলো হাতিয়ে নেন তার শাশুড়ি জায়েদা পারভিন। গহনা নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই সামিয়ার কথা কাটাকাটি হতো। আর এ সব নিয়ে কথা বললেই সামিয়াকে নির্যাতন করা হতো। বৃহস্পতিবার এই গহনা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এদিন বিকেল ৩টার দিকে সামিয়া ফোন করে আমাদের জানায়-স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে মারধর করেছে। পরে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে হৃদয় আমাদের ফোনে জানায়- সামিয়া স্ট্রোক করেছে। খবর পেয়ে আমরা এনাম মেডিক্যালে গিয়ে সামিয়ার মরদেহ দেখতে পাই।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সাদনাম সাকিব হৃদয়কে আটক করা হয়েছে। সামিয়ার শ্বশুর জাকারিয়া হোসেন ও শাশুড়ি জায়েদা পারভিন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।