বৃষ্টি কমে গেলেও সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত হয়। পানিতে ডুবে যায় সুন্দরবন বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটক স্পট।
তবে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলগুলোর শেড উঁচু থাকায় ভেতরে পানি প্রবেশ করতে পারেনি, তাই সব প্রাণীই নিরাপদে রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
এদিকে লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত বহাল রয়েছে, বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ শনিবার (১৩ আগস্ট) ভোর থেকেই মেঘাচ্ছন্ন। বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ চলছে স্বাভাবিক গতিতে।
সুন্দরবন করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, গত তিন দিন ধরে সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেল থেকে নদীতে পানি বেড়েছে। তাই (১৩ আগস্ট) শনিবার দুপুরের জোয়ারে প্রায় তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সুন্দরবন করমজলের পুরো এলাকা। এতে পর্যটক স্পটের রাস্তাঘাটসহ ভেতরে পানি থৈ থৈ করছে। তবে বন্যপ্রাণীগুলোর আবাসস্থল উঁচু হওয়ায় এখন পর্যন্ত প্রজনন কেন্দ্রের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবারও মোংলা বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল থাকছে। বন্দরে অবস্থানরত বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠা-নামা স্বাভাবিক রয়েছে।