সারা দেশেই রেল স্টেশনে প্ল্যাটফরমে টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রেলযাত্রীর অভ্যর্থনাকারীরা। এ নিয়ে প্রতিদিন কমলাপুর স্টেশনে যাত্রী অভ্যর্থনাকারীদের সঙ্গে টিকিট চেকারদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটছে। ফলে যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনের ২০ নম্বর কাউন্টারের সামনে সাইনবোর্ডে প্ল্যাটফরম টিকিটের কথা লেখা রয়েছে। কিন্তু কাউন্টারটি সারাক্ষণ বন্ধ থাকে।
কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন ছেড়ে যায় ৫২টি ট্রেন। এর মধ্যে ৩৯টি আন্তঃনগর। ১৩টি লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন এ স্টেশন থেকে আসা-যাওয়া করে প্রায় ৬০ হাজার যাত্রী। প্ল্যাটফরম টিকিটের ব্যাপারে কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, প্ল্যাটফরম টিকিট বিক্রি আপাতত বন্ধ রয়েছে। এটি বন্ধ রাখা হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়ের নির্দেশেই। তিনি বলেন, প্ল্যাটফরম টিকিট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে প্ল্যাটফরম টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে বসেন। এ নিয়ে টিকিট চেকারদের মধ্যে প্রায়ই বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কমলাপুর রেল স্টেশনে যাত্রীদের অভ্যর্থনাকারীদের ভেতরে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বয়স্ক যাত্রীদের ক্ষেত্রে অনুমতিসাপেক্ষে তাদের অভ্যর্থনাকারীদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। স্টেশনের ২০ নম্বর কাউন্টার বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০ নম্বর কাউন্টার বিশেষ কাউন্টার। যেহেতু প্ল্যাটফরম টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে সে কারণে একটি বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে থেকে প্ল্যাটফরম টিকিট চালু হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এ রেল কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি রেল মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলেই এটি চালু করা সম্ভব হবে। আর এ কারণেই প্ল্যাটফরম টিকিট বিক্রির সাইনবোর্ড প্রত্যাহার করা হয়নি।
বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) মো. শাহ আলম বলেন, প্ল্যাটফরম টিকিট নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফরম টিকিট বিক্রি আবার শুরু করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. আফছার উদ্দিন বলেন, প্ল্যাটফরম টিকিটের মূল্য ছিল ১১ টাকা। করোনা ভাইরাসের সময় তো স্টেশন পুরোপুরি ফাঁকা ছিল। পরবর্তী সময়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক হলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্ল্যাটফরম টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।