অনেকেরই পায়ের শিরা উপশিরাগুলো ঘন নীল বর্ণ ধারণ করে। সেই ঘন নীলবর্ণের ত্বক বাজেভাবে চোখে পড়ে। তবে দর্শনবিচারি সমস্যা হলে তো ঝামেলা ছিল না। পায়ে দপদপ করে। প্রায়ই পা ভারি হয়ে আসে। চুলকুনি তো লেগেই আছে। মূলত শিরা-উপশিরার ওপরের ত্বক বেশ পাতলা ও প্রতিক্রিয়াপ্রবন হয়ে যায়। যদি এমনটাই হয় বুঝতে হবে ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যা আছে। নামটি বেশ বিরল ও আমাদের দেশে অনেকেই এই সমস্যাও ভুগলেও শনাক্ত করতে পারে না। এমন উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ তো নিতেই হবে। একইসঙ্গে ঘরোয়াভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ভেরিকোজ ভেইন কেন হয়?
প্রথমে বলে নেওয়া ভালো, আমাদের দেহের শিরাগুলোর মধ্যে কিছু ছোট ছোট ভালভ পাওয়া যায়। এই ভালভগুলো কি করে? শিরার ভেতর রক্ত যেন একই স্রোতে প্রবাহিত হয় তা নিশ্চিত করে এই ভালভ। যদি কখনো ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে কার্যক্ষমতা হারিয়ে বসে। ফলে শিরার ভেতর দূষিত রক্ত প্রবেশ করতে শুরু করে। এই আকস্মিক পরিবর্তনে শিরা-উপশিরাগুলো কুঁকড়ে যায় এবং স্বাভাবিক আকার হারিয়ে ফুলে ওঠে। এই সমস্যার দুটি উপসর্গ তখন - একটি বাইরে থেকে সহজেই বোঝা যায় আরেকটি ভীষণ ব্যথা হয়। এই সমস্যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে।
কিভাবে ভেরিকোজ ভেইন থেকে মুক্তি মিলবে?
ভেরিকোজ ভেইন থেকে মুক্তির ঘরোয়া পদ্ধতি আছে কিছু। তবে তারজন্যে ভীষণ ধৈর্যধারণ করতে হবে। একে নিয়ন্ত্রণ ও সাড়িয়ে তোলার কাজটি সময়সাপেক্ষ হওয়ায় আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। নিচে সে বিষয়েই রইলো কিছু টিপস:
- নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা সাঁতার কাটার মাধ্যমেও কিছুটা আরাম পাবেন।
- আঁটসাঁট পোশাক গায়ে চাপাবেন না।
- ফ্ল্যাট হিলের জুতো পরবেন।
- যেসব জায়গায় ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যা আছে সেসব স্থানে ম্যাসাজ করুন।
- সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি এমন খাবার পরিত্যাগ করুন। লবণ কম খাবেন।
- ফ্ল্যাভিনয়েডস সমৃদ্ধ খাবার যেমন পেঁয়াজ, রসুন, সিট্রাস ফল বেশি খাবেন।