বাংলা কবিতার সাম্প্রতিককালের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ ছয় দশক কবি অত্যন্ত সাবলীল ধারায় লেখালেখি করে বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখেন। শামসুর রাহমান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি।
বরেণ্য কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার বনানী কবরস্থানে বিভিন্ন সংগঠন ও কবির পরিবারের পক্ষ থেকে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম নেওয়া এই কবিকে তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে, মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।
কবিতার বরপুত্র, কালের কণ্ঠস্বর এ কবি ছিলেন মৃদুভাষী। কিন্তু যে কোনো আন্দোলনে, অধিকার আদায়ের দাবিতে তিনি মানুষের পাশে ছিলেন। এক সঙ্গে চলেছেন। তার লেখনী তো ছিলই তিনি সশরীরেও এসব আন্দোলনে যোগ দিতেন। তার কবিতা মানুষের মুখে মুখে মন্ত্রের মতো উচ্চারিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে, মৌলবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার কবিতা মানুষকে উজ্জীবিত করেছে, জুগিয়েছে প্রেরণা। সব বিপর্যয়ে, দুঃশাসনে, মানবতার লাঞ্ছনায় বাঙালিকে বার বার ফিরে যেতে হবে কবি শামসুর রাহমানের কাছে। কবিতায় স্বাধীনতার প্রেরণাকে ধারণ করেছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ তার কবিতায় যেভাবে মূর্ত হয়ে ওঠে তা আর কারো কবিতায় খুব কম দেখা যায়। কবি শামসুর রাহমান সাংবাদিক হিসেবে ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ তে সামরিক সরকারের শাসনামলে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর তিনি অধুনা নামের একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শামসুর রাহমান একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক, আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।