সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

জাজিরা পৌরসভার জরাজীর্ণ রাস্তা ভোগান্তিতে এলাকাবাসী 

আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২২, ১৮:৪৭

শরীয়তপুরের জাজিরা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কবিরাজ কান্দির রাস্তাটি শুষ্ক মৌসুমে একটু চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই গ্রামের বাসিন্দাদের। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কবিরাজ কান্দির রাস্তাটি প্রায় আট বছর যাবৎ সংস্করণ হয়নি। ফলে বন্যা আর একটু বৃষ্টিতে এ ওয়ার্ডের রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রতিবছর পৌরসভার উন্নয়নের জন্য সরকার যে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সেগুলো কোথায় ব্যয় করা হয় তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এভাবেই রাস্তার বিভিন্নস্থানে ভেঙে রড বের হয়ে থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ছবি- ইত্তেফাক

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বারবার পৌর মেয়র বরাবর মৌখিকভাবে বলে কোনো লাভ হয়নি। দরখাস্ত দিতে গেলে তাদের ভাগ্যে মিলে শুধু প্রতিশ্রুতি। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ৮-৯শ মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। 

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন জানান, এমন রাস্তা দিয়ে কিভাবে আমরা হেঁটে চলাচল করবো। একটু বৃষ্টি হলেই এক হাটু পানি আর যেখানে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়। আবার রাস্তা ভেঙে বিভিন্ন অংশে রড বের হয়ে আছে, এতে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। 

এভাবেই রাস্তার বিভিন্নস্থানে ভেঙে রড বের হয়ে থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। ছবি- ইত্তেফাক.

মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে পায়ের জুতা হাতে নিয়ে যেতে হয়। আমরা এ কষ্ট থেকে রেহাই পেতে চাই। তাই আমাদের দাবি ও এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ওই রাস্তা যেন দ্রুত সংস্কার হয়। 

৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র রুবেল বলেন, এই রাস্তার কারণে মাদ্রাসায় যেতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। বৃষ্টি হলে এই এলাকা থেকে বের হওয়া যায় না। 

রাস্তার বিভিন্নস্থানে ভাঙা অংশ। ছবি- ইত্তেফাক

একই এলাকার বাসিন্দা রুবিনা আক্তার বলেন, রাস্তাটা এতোটা খারাপ যেকোন মানুষ অসুস্থ হয়ে গেলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে গাড়ি আসতে চায় না।

এ ব্যাপারে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইদ্রিস মাদবর বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, মানুষের হেঁটে যাওয়াই কষ্টকর। আমি এমপি সাহেব থেকে ডিও লেটার এনেছি, জলদি কাজের অনুমোদন পেয়ে যাবো।

ইত্তেফাক/এমএএম