জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল স্বচ্ছ অভিযোগ গ্রহণ বক্স। বলা হয়েছিল, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয়ে অভিযোগ এবং পরামর্শ দিতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট সময় পরপর এ বক্স খুলে দেখা হবে। গঠন করা হয়েছিল অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটিও। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দুই-একটি বাদে স্থাপনের তিন বছরে এক দিনও খোলা হয়নি অধিকাংশ বক্স।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক হল, চিকিৎসাকেন্দ্র, টিএসসিসি, কেন্দ্রীয় গ্রম্হাগারসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২২টি অভিযোগ গ্রহণ বক্স রয়েছে। যা ধুলোর আস্তরণ আর মাকড়শার জাল জমে ময়লা রাখার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তালায় ধরেছে মরিচা আর ব্যবহৃত টিস্যু, কাগজ ইত্যাদিতে পূর্ণ হয়ে আছে এসব বক্স।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী নওশিন বলেন, অভিযোগ বক্সগুলোর তদারকি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর বক্সগুলো খুলে অভিযোগ আমলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, অভিযোগ গ্রহণ বক্সের দায়িত্বে কে আছেন আমার জানা নেই। তবে আমি এটার খোঁজ নিচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগ বক্সের বিষয়টি আমার দায়িত্বের মধ্যে নেই। আমার জানা মতে প্রতি এক-দুই মাস পরপর বক্সগুলো খুলে রিপোর্ট করার কথা কিন্তু এরা বক্স খুলে নাকি না খুলে রিপোর্ট করে তা বলতে পারছি না।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব চন্দন কুমার দাস বলেন, প্রক্টর স্যার আমাদের এ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক এবং ছাত্র উপদেষ্টা সদস্য। তিন বছরে এক দিনও অভিযোগ বক্স খোলা হয়নি শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি সঠিক নয়। তিন মাস পরপর এগুলো খোলা হয়। আগামী সপ্তাহে আমি এগুলো খোলার ব্যবস্থা করব এবং ওপর মহলকে এ বিষয়ে অবহিত করব। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এ সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।