বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নতুন প্রকল্প পাশ হলেই ১৫০ আসনে ইভিএম

আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:০৪

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২ লাখ ইভিএম ক্রয়ের জন্য সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ মাসেই প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নতুন প্রকল্প পাশ হলেই ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। প্রকল্প পাশ না হলে কমপক্ষে ৭০টি আসনে ইভিএম ভোট করা হবে। ৩০০ আসনের ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা জানিয়েছেন তিনি।

গত ২৩ আগস্ট কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে, সেটি চূড়ান্ত না করলেও সংখ্যাটি ১৫০-এর বেশি হবে না বলে সিদ্ধান্ত জানানো হয়। গতকাল রবিবার নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানালেন, ‘সরকার টাকা দিলে আমরা সর্বোচ্চ ১৫০ আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প পাশ না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয়, বা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে, তাহলে তো হবে না। তবে আমাদের যে সক্ষমতা বর্তমানে আছে, এতে ৭০-৮০টি আসনে নিশ্চিত। আমাদের যা ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৭০-৮০টিতে ভোট হবে।’

তিনি বলেন, স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আগে যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব এলাকায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭০ থেকে ৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করা হবে। সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনের সব কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছা আছে। সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। সম্ভব হলে সব ভোটকক্ষেই দেব। আমরা এটা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেব। কারণ সংরক্ষণ, মেরামতের বিষয় আছে। ভোটের পর তারা সিডি দেবে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেমন দিয়েছে। সেখানে সবকিছুর রেকর্ড থাকবে।’

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু : ঢাকার সংসদীয় আসনসংখ্যা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘জনসংখ্যা যেটা দেখেছি, তাতে প্রতি আসনে ৫ লাখ ৫০ হাজার হয়। এতে খুব একটা পরিবর্তন হয় না। হয়তো হলেও দুই-একটাতে পরিবর্তন করতে হবে। কোন জায়গায় লাগবে, পরীক্ষা করে এখনো দেখিনি।’

জনসংখ্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে জানিয়ে সাবেক এই সচিব বলেন, ‘ঘরোয়া কাজ শুরু করে দিয়েছি। বর্তমানে ডাটা সংগ্রহ করছি কোথায় কয়টা আসন, কত ভোটারসংখ্যা ইত্যাদি। পরিসংখ্যান ব্যুরো একটা প্রতিবেদন দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও জেলাভিত্তিক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা জেলাভিত্তিক প্রতিবেদন দিয়েছে।

 

ইত্তেফাক/ইআ