শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

মুখের সিস্ট হতে পারে বিপজ্জনক

আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৩০

সিস্ট এক ধরণের ক্যাভিটি। এই ক্যাভিটির ভেতর থাকে তরল পদার্থ। বাহির থেকে দেখলে ছোটখাটো নরম একটা ব্যাগ বলেই মনে হবে। সিস্ট মুখের যেকোনো জায়গায় হতে পারে। ঠোঁট, জিহ্বা, লালাগ্রন্থি, মুখের তালু যেকোনো জায়গায়ই সিস্ট হতে পারে।

প্রথমে এই ক্যাভিটি ছোট হয়। সংক্রমিত হলে তা আস্তে আস্তে বড় হয় এবং লাল রঙ ধারণ করে। একসময় মুখে ভীষণ ব্যথা করে। সিস্ট থেকে ভেতরে থাকা পুঁজ ও বের হতে পারে। চোয়ালে সিস্ট হলে হাড় ক্ষয় হয়। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে তা ভয়ংকর সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। মুখে বিভিন্ন ধরণের সিস্ট হতে পারে। সেগুলো সম্পর্কে ধারণা পেলে শনাক্ত করাও সহজ হয়।

মুখে বিভিন্ন ধরণের সিস্ট হতে পারে

পেরিএপিক্যাল সিস্ট

একে রেডিকুলার সিস্টও বলে। মূলত দাঁতের রুট কিংবা শিকড়ের নিচের অংশে এই ক্যাভিটি হয়। কোনো দাঁত অনেকদিন কেরিয়াস থাকলে দাঁতের পাল্প বা মজ্জা মরে যায়। মৃত পাল্পগুলোই ইনফেকশন ও ইনফ্লামেশনের মাধ্যমে পেরিএপিক্যাল সিস্ট করে।

ওডোন্টোজেনিক সিস্ট

চোয়ালের ভেতর কিছু সিস্ট হয়। এই ধরণের সিস্টও চোয়ালের হাড়ের ভেতর হয়। আকৃতিতে বড় হওয়ায় এক সময় খুব ফোলা দেখায়। দ্রুত চিকিৎসা না করলে দাঁত নষ্ট হতে পারে। একসময় তা সারা শরীরে ছড়িয়ে ক্যান্সারের মতো ব্যাধিও হতে পারে।

ডেন্টিজেরাস সিস্ট দাঁতের অ্যালাইনমেন্ট ব্যাহত করার পাশাপাশি ক্যান্সারেরও আশঙ্কা বাড়ায়

মিউকাস সিস্ট

মুখের নরম অংশ যেমন ঠোঁট, জিহ্বা, গালের ভেতর হয়। তাই মুখের জ্বালাপোড়া হয় এবং ক্ষতের মত দেখায়। এমনিতে অবশ্য এই সিস্ট ঠিক হয়ে যায়। তবে গালের ভেতর এবং জিহ্বার নিচে হলে সার্জারি করতে হয়।

ডেন্টিজেরাস সিস্ট

দাঁতের পুরো ক্রাউন অংশে হয়। সবসময় আক্কেল দাঁতেই এই সমস্যা দেখা যায়। এই সমস্যা দাঁতের অ্যালাইনমেন্ট ব্যাহত করার পাশাপাশি ক্যান্সারেরও আশঙ্কা থাকে।

ইত্তেফাক/আরএম