গাংনীতে প্রেম করে বিয়ে করার ৪ বছর পর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এক সন্তানের মা তাসনীম উর্মি নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী আশফাকুজ্জামান প্রিন্সের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে আশফাকুজ্জামান পলাতক রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটে।
উর্মি উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের (বর্তমানে বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে) বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে এবং আশফাকুজ্জামান তেরাইল গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে। তারা গাংনীর কাথুলী মোড়ের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ স্থানীয়দের সূত্রে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে উর্মিকে হত্যা করে ঘরের গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তাসনীম উর্মি কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী এবং আশফাকুজ্জামান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র। তারা ৪ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৭ মাস বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
উর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করতো তার স্বামী। আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।’
প্রতিবেশীরা ধারণা করে বলেন, আশফাক মাদকাসক্ত। স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। নেশার টাকা না পেয়ে আশফাক তার স্ত্রীকে হত্যা করতে পারেন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’