বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ৮ চৈত্র ১৪২৯
দৈনিক ইত্তেফাক

আখের দাম বৃদ্ধি, চাষে ঝুঁকছেন চুয়াডাঙ্গার কৃষক

আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০০

সরকার আখের দাম বৃদ্ধি করায় দর্শনা এলাকার প্রান্তিক চাষীরা আখচাষে ঝুঁকে পড়েছে। ২০২২-২৩ রোপন মৌসুমে ৭ হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ মাঠে নেমেছে।

চিনিকলের কৃষি বিভাগ জানায়, ১ সেপ্টেম্বর রোপন মৌসুম শুরুর পর স্ব স্ব এলাকার চাষীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নিজ নিজ জমিতে আখ রোপন করতে দেখা গেছে। মৌসুমী বৃষ্টির কারনে গত ৪/৫ দিন আখ রোপন সম্ভব না হলেও গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে প্রায় পৌনে দু’শ বিঘা জমিতে আখ রোপন ও বীজতলা করা হয়েছে।

মিলজোন এলাকার বড় আখচাষী মো তৈয়ব আলি জানান, গত বছর একমন (৪০ কেজি) আখের দাম ছিল ১৪০ টাকা এবার ১৮০ টাকা। এ জন্য আমি এবার ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমিতে ভালো ও উন্নত জাতের আখচাষ করবো। মিলের জি এম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া  জানান, এ বছর চিনিকলের খামারে ১ হাজার ৫৫৯ ও চাষীর জমিতে ৫হাজার ৫ শ ৪১ একর মোট ৭হাজার একর জমিতে আখচাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষ ও সাধারন চাষীদের স্বার্থে একমন আখের দাম মিলগেট এলাকায় ১৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা, বহিঃকেন্দ্রে (সেন্টারে) ১৩৭ থেকে ১৭৬ টাকা করেছে। তাছাড়া আসন্ন মাড়াই মৌসুম চালুর পর জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ থেকে ১৫ দিন পরপর কুইন্টাল প্রতি ৫ টাকা হারে ৫ বার দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। যদি ফাউন্ডেশন বা রেজিস্টারবীজ ক্ষেত হয় তাহলে মিলে আখ সরবরাহ যোগ্য আখের চাইতে বীজ আখ কুইন্টাল প্রতি ৮ টাকার স্থলে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর কেরুর নিজস্ব জমিতে দন্ডায়মান আখ ছিল ১হাজার ৫০ একর, চাষীর দন্ডায়মান আখ ছিল ৪হাজার ২শ৩০ একর। যা গত বছরের চাইতে এ বছর প্রায় ২ হাজার একর জমিতে বেশী আখচাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। মিলের আখচাষী কল্যান সমিতির সভাপতি আঃ হান্নান ও সাধারন সম্পাদক আ. বারি বলেন, আখের মুল্য কিছুটা হলেও বেড়েছে, যার জন্য আখচাষ বাড়বে তবে চিনির বিক্রয় মুল্য বাড়িয়ে আখের মুল্য আরো একটু বাড়ানো দরকার। জি এম (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন, বলেন আমরা উন্নত জাতের ও চিনি সমৃদ্ধ আখ চাষের উপর জোর দিয়েছি। যাতে করে চাষী ও মিল উভয়ই লাভবান হতে পারে।

চিনিকলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো: মোশারফ হোসেন বলেন ইতি মধ্যে আখের মুল্য বৃদ্ধি পাওয়াই আখচাষীদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে ও আখের বীজতলা তৈরি প্রস্তুত বেড়েছে, আশা করা হচ্ছে এ বছর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এর নির্ধারিত টার্গেট পুরন করতে সক্ষম হবো।

ইত্তেফাক/এসসি