কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে অন্যের জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে জেলা আওয়ামীলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে। জমি দখল ঠেকাতে মূল মালিকানা দাবি করা ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করার পর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে নির্মাণ কাজ স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই নির্দেশের পরও চলছে নির্মাণ কাজ। মালিকানা দাবি করা নুরুল আবছারকে হুমকিধামকি দেওয়ার অভিযোগও আছে। নিজের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেত্রীর নাম নাজনীন সারোয়ার কাবেরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
নুরুল আবছারের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে নাজনীন সারোয়ার কাবেরী ছাড়াও মহেশখালী পৌরসভার মধ্যম গোরকঘাটার নুরুল আমিনের ছেলে আতা উল্লাহ সিদ্দীকি (৪৫) এবং চকরিয়ার ডুলহাজারা ইউনিয়নের কালু মেম্বারের ছেলে কহিল মাহমুদ (৪২) ও মো. কায়েসের (৩৮) বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে আদালতের ১৪৪ ধারা ও সাধারণ ডায়েরি দায়ের হওয়ায় কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের একটি দল সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোশাররফের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় ওই আওয়ামী লীগ নেত্রী পুলিশের সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তা।
সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আদালতের নির্দেশনা পেয়ে থানার ওসি স্যারের আদেশে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কলাতলীর সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকার ওই জমিতে গিয়েছি। সেখানে গিয়ে কয়েকজন নির্মাণশ্রমিককে কাজ করতে গেছি। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা আওয়ামী লীগের কাবেরী ম্যাডাম এগিয়ে এসে আমাকে শাসান। তিনি বলেছেন, এখান থেকে চলে না গেলে আমাদের দেখে নেবেন।'
অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরোয়ার কাবেরী বলেন, 'রাত নয়টায় পুলিশ আমার কেনা জমিতে এসে অনুমতি না নিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। পুলিশের ওই কর্মকর্তা আমাদের প্রতিপক্ষ লোকজনের সাথে কথা বলছিলেন এবং যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই এসেছিলেন। তাই আমি তাদের চলে যেতে বলেছি। পুলিশ যদি কোনোভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে, তবে তা আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করব বলে জানিয়েছি।'
এসব বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তিনি একটি দায়িত্বশীল পদে থাকা নেত্রী। আমরা প্রত্যাশা করি তিনি আদালতের আদেশ অমান্য করবেন না। উভয় পক্ষকেই এ ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।