চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদী সীমান্ত থেকে প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ৯ কেজি ৮৬০ গ্রাম সোনা (৫৮টি ছোট বড় সোনার বার) সহ মোঃ রকিবুল ইসলাম (৩৫) নামে এক সোনা পাচারকারীকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি’র সদস্যরা।
সোনা পাচারকারী মো. রকিবুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্তবর্তী নাস্তিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বিজিবি সদস্যরা তাকে একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শাহ মোঃ ইশতিয়াক বেলা ৩টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ হতে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধীনস্থ বারাদী বিওপির হাবিলদার মোঃ জুলহাস উদ্দিন, পিবিজিএম টহল দল নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৯ হতে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর কবরস্থান সংলগ্ন প্রাইমারী স্কুল এলাকায় এ্যাম্বুশ এর জন্য অবস্থান গ্রহণ করে।
সকাল ১১টার দিকে টহল দল একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মোটর সাইকেলযোগে উক্ত এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিজিবি সশস্ত্র টহলদল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল চোরাকারবারীকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয় এবং অপর দলটি মোটর সাইকেলটি জব্দ করে। জব্দকৃত মোটর সাইকেলটি তল্লাশী করে মোটর সাইকেলের সীট কভারের নীচে এয়ার ক্লিনার ফিল্টার বক্সের ভিতর থেকে কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১১টি প্যাকেট উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে বিজিবি বিশেষ টহল দল এক জন স্বর্ণ পাচারকারীসহ ১১টি প্যাকেট হতে ছোট বড় ৫৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জব্দকৃত সোনার পরিমান ৯ কেজি ৮৬০ গ্রাম। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪০ টাকা।
এ বিষয়ে দর্শনা থানায় মামলা করত আটককৃত আসামি নাম মো. রকিবুল ইসলাম হস্তান্তর এবং আটককৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।