রাজবাড়ীতে বিলুপ্ত প্রায় বিদেশি প্রজাতির ৬টি টিয়া (লড়ি) ও ৯টি টিয়া (ম্যাকাও) পাখি ও একটি হনুমানের বাচ্চা উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ। এসময় মো. সাঈদুর রহমান মন্ডল (৩৬) নামে এক পাচারকারীকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গাগামী পূর্বাশা নামক একটি যাত্রীবাহী বাসে গোয়ালন্দ মোড়ের করিম ফ্লিলিং স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই বন্যপ্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. সাইদুর রহমান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানাধীন পুরান লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. জমির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
উদ্ধার শেষে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন প্রায় বিলুপ্ত জাতের বন্যপ্রাণীগুলো ও আটককৃত আসামি মো. সাইদুর রহমানকে রাজবাড়ী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবউজ্জামানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত ও পাচার প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় থানা পুলিশের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চুয়াডাঙ্গাগামী পূর্বাসা নামক একটি বাসে তল্লাশিকালে বিদেশি জাতের বিলুপ্ত প্রায় ১৫টি টিয়া (লড়ি) প্রজাতির পাখি ও একটি হনুমানের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। এসময় বন্যপ্রাণী পাচারকারী মো. সাঈদুর রহমান মন্ডল নামক এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণী ও আসামিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
রাজবাড়ী বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুজ্জামান বলেন, ‘উদ্ধারকৃত পাখিগুলো বহনকারীর কোনো লাইসেন্স নেই। সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে বিদেশি পাখিগুলো আনা হয়েছে। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো এবং তারপর তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’