চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা ২০৬ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিয়েভ দখল ও সেখানে 'পুতুল' সরকার বসানোর স্বপ্ন নিয়ে পুতিন যে আগ্রাসন শুরু করেছিলেন তা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে। এছাড়া সম্প্রতি ইউক্রেনে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে পুতিনের লক্ষ্য নিয়ে নিরাশার বাণী শোনালেন পেন্টাগনের গোয়েন্দা প্রধান।
পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক লে. জেনারেল স্কট বেরিয়ার শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই মুহূর্তে আমরা একটি পয়েন্টে আসছি যেখানে আমই মনে করি পতিন তার এই অভিযানের লক্ষ্যগুলো নিয়ে আবার ভাববেন।
তিনি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট পরিষ্কার যে তিনি (পুতিন) প্রাথমিকভাবে যা করতে চেয়েছেন তা তিনি করতে পারবেন না। গত সপ্তাহে ইউক্রেন বাহিনীর তীব্র পাল্টা আক্রমণে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
এছাড়া স্কট বলেন, রুশরা একটি দখলের পরিকল্পনা করেছিল, অগত্যা একটি আক্রমণ নয়।
এদিকে উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সামিটের ফাঁকে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বৈঠক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদি পুতিনকে বলেছেন, এখন যুদ্ধ করার সময় নয়। মোদির এই বক্তব্য পুতিনকে সরাসরি আক্রামণ করা বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়া বলে আসছে তারা বিচ্ছিন্ন নয়, কারণ তাদের এশিয়ায় ভারত চীনের মত শক্তিশালী দেশ সঙ্গে আছে। কিন্তু উজবেকিস্তানে মোদির এমন মন্তব্য রাশিয়াকে অনেকটা খোঁচা দিলো বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মোদি পুতিনকে বলেছেন, আমি জানি এখনকার জমানা যুদ্ধের জমানা নয় এবং এই বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি।
মোদির এই কথা শোনার পর ১৯৯৯ সালের পর পুতিন 'অসম্মতির অভিব্যক্তি' জানান, মোদির দিকে একবার তাকান এবং এরপর মাথার পেছনের চুল স্পর্শ করার আগে নিচে তাকান।
সেই সময় পুতিন মোদিকে জানান, ইউক্রেন নিয়ে তিনি তাদের উদ্বেগের বিষয়টি বুঝেছেন এবং এই সংঘাত বন্ধে মস্কো সবকিছু করছে। পুতিন বলেন, ইউক্রেনে সংঘাত নিয়ে আমি আপনার অবস্থান ও উদ্বেগের বিষয়টি বুঝি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করতে আমরা সবকিছু করবো।