শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ফুলবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ল্যাম্পি স্কীন রোগ

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫৭

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গরুর ল্যাম্পি স্কীন রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। কোনো গরু মারা না গেলে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে শতশত গরু আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে এক, দুইটি করে গরু এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এবং এ রোগের চিকিৎসা ব্যয় বহুল হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গরুর মালিকরা।

সরেজমিনে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারাইতারী ও বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোগারকুটিসহ বিভিন্ন এলাকা গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি পরিবারে এক-দুইটি করে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বারাইতারী গ্রামের সাইদুল হকের ৩টি, আমজাদ হোসেনের ২টি, আশরাফ আলীর ১টি, রেজাউল হকের ১টি ঘোগারকুটি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ২টি, আজাদ আলী, শফিকুল ইসলাম ও আলী হোসেনের ১টি করে গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তারা জানান, ‘গরু এ রোগে আক্রান্ত হলে প্রথমে গায়ে ফোস্কার মতো ফুলে যায়। পরে মুখে ঘা হয় এবং পা ফুলে গিয়ে গরু দুর্বল হয়ে পড়ে।  প্রথমে পল্লী প্রাণী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়ে উন্নতি হয়নি। পরে সরকারী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়ায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে গরু সুস্থ হচ্ছে। তারা আরও বলেন, এ রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয় বহুল। ইনজেকশন, ঔষধ ও ডাক্তারের ফিসহ গরু প্রতিপ্রায় ৫ হাজার টাকা ব্যয় হলেও এখনও গরু সুস্থ হয়নি।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, নিবন্ধিত খামার এবং প্রান্তিক পশু পালন কারীসহ উপজেলায় প্রায় ৭৫ হাজার গরু পালন করা হচ্ছে। খামারীদের গরু এ রোগে বেশি আক্রান্ত না হলেও প্রান্তিক পশু পালনকারীদের গরুই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। এটা ছোঁয়াছে রোগ হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আতিকুজ্জামান জানান, ‘এ রোগ প্রতিরোধের কোন টিকা নেই। গরুর সঠিক পরিচর্যা এবং বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর চিকিৎসার জন্য দ্রুত উপজেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এসসি