শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪ আশ্বিন ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বাজেট সহায়তার আগে অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্বব্যাংক

আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:১৬

বাংলাদেশে সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্বব্যাংক। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি রপ্তানি, রেমিট্যান্স, সরকারি উন্নয়ন ব্যয় এবং আর্থিক খাতের সংস্কারে সম্পর্কে সরকারের ভাবনা ও পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত হতে চায় সংস্থাটি। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এ কথা জানান।

গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর ম্যাথিউ ভারগিস। এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন-আল-রশীদ, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. কাওসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের বাজেট সাপোর্ট দিচ্ছে। এটা দিতে গিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছে আমরা কী অবস্থায় আছি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আমরা কী ভাবছি, এটা বাড়াতে কী করছি—এটা জানতে চেয়েছে। ক্ষুদ্র অর্থনীতি কোন অবস্থায় আছে, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ যে কমল, এর কারণটা কী, মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমানো যাবে, এর জন্য কী কী করণীয়—এটাও জানতে চেয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের মূল্যস্ফীতি যতটা বাড়ার কথা ছিল ততটা বাড়েনি। মূল্যস্ফীতি কমাতে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তাদের বলেছি আমাদের রিজার্ভ কমে গেছে—এটা চ্যালেঞ্জ। তবে আমাদের রপ্তানি বাড়ছে ২৫ শতাংশ হারে। আমদানি বাড়ছে ২৩ শতাংশ হারে। গত এক মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২ বিলিয়ন ডলার। ফলে আমরা এখন স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছি। রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। আমাদের বিনিময়ের মূল্য স্থিতিশীল আছে, কোথাও কৃষি বা শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হয়নি। আমাদের অর্থনীতি ও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় আমরা স্বস্তির দিকে যাচ্ছি। এক্সচেঞ্জ রেট বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। বৈদেশিক মুদ্রার বাজারও স্থিতিশীল হবে। তাই রিজার্ভ আর কমবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিশ্রুত ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা ছাড় করার আগে তারা বেশ কিছু বিষয় জানতে চেয়েছে। এটা শর্ত নয় যে, এগুলো না হলে টাকা পাওয়া যাবে না। বরং এগুলো পরামর্শ হিসেবেই দেখছি।

ইত্তেফাক/ইআ