ইতিহাসের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ও প্রাণঘাতী বন্যার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান। বন্যার বিপর্যস্ত পাকিস্তানে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের সংক্রমণ। দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবাহিত ও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিনিয়তই। দেশটিতে চর্মরোগ, ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ায় এতে অন্তত ৩২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় সাহায্য না পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
দেশটির স্থানীয় সংবাদ গুলো মাধ্যম বলছে, বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া কয়েক লাখ মানুষ খোলা জায়গায় বসবাস করছে। শত শত কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়া বন্যার পানি কমতে দুই থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে। এছাড়া জমে থাকা পানির কারণে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, পাকিস্তানে বন্যায় ক্ষতির শিকার হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশু। এর মধ্যে অন্তত ৩৪ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার অথরিটি অব পাকিস্তানের তথ্য অনুযায়ী, গত জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে দেখা দেওয়া বন্যায় পাকিস্তানে ১ হাজার ৫৪৫ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫৫২।
সরকারি কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, অনেক জায়গা থেকে হতাহতের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই বন্যায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মশাবাহিত এই রোগে অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।