মিয়ানমারে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ কিংবা অন্য দেশে বিতাড়িত করতে আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সংঘাতের নাটক করছে মিয়ানমার, এমন অভিযোগ সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের। গতকাল বুধবার বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেলেও কক্সবাজারের পালংখালী সীমান্তে সারা দিন পরিস্থিতি শান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারী পরিবারগুলো। এর পরও তারা আতঙ্কে রয়েছেন।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তসহ আশপাশের এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মিয়ানমার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে। দেশটি বলেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান ‘আন্তরিক সম্পর্ক’ নষ্ট করতেই দুই পক্ষ মিলে সীমান্ত এলাকায় চলমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের মহাপরিচালক জ ফিউ উইন এমনটা বলেছেন। সোমবার রাতে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে এই বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করেছে। এ তথ্য প্রকাশ পাওয়ার পর তাদের আশঙ্কাই সত্য হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বালুখালী-কুতুপালং এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি একজোট হয়ে গোলাগুলির নাটক করে ভীতি সঞ্চার করে রাখাইনে বসবাসকারী অবশিষ্টদের মিয়ানমার ছাড়ার পরিস্থিতি তৈরি করছে। এতদিন পর আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দোষ চাপিয়ে সেই আশঙ্কাটা সত্য হিসেবে প্রমাণ দিল মিয়ানমার।