দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জ্বলতে শুরু করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকার সড়ক বাতি। বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় মঙ্গলবার সড়ক বাতি ও পানির লাইনের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করছে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বরিশাল।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের সকল সড়ক অন্ধকার ভূতুরে গলিতে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ বন্ধের বিষয়ে বুধবার রাতে নগরীর কালিবাড়ি রোডস্থ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ নগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক এর বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহম্মেদ বলেন ওজোপাডিকো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে আবার তারাই সংযোগ দিয়েছে।
তবে ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওজোপাডিকোর ৫৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে রবিবার থেকে পর্যায়ক্রমে নগরীর ১৫টি সড়কের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। যে সকল সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি, সেই সকল সড়কের বাতিও সিটি করপোরেশন বন্ধ রেখেছিলো। হয়তো তারা এখন সেগুলো চালু করেছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বর্তমান মেয়রের দায়িত্বপালনকালীন সময়ে মোট ১৫ কোটি ৮ লাখ ৪৮ হাজার পাওনার বিপরীতে ইতোমধ্যে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের সময়ে মোট বকেয়া ছিল ২০ কোটি ৩৬ লাখ ৭৩ হাজার ১৫ টাকা যার বিপরীতে কোন টাকাই পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময়ে ২১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৯ টাকা সহ মোট বকেয়া দাঁড়ায় মোট ৪২ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার ৪৪ টাকা। এর বিপরীতে সাবেক মেয়র কামাল পরিশোধ করেছিলেন ১ কোটি ৩৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা।
মেয়র তার দেয়া হিসেব বিশ্লেষণ করে বলেন, বিগত দুই পরিষদ এর সময়ে বকেয়া টাকা যেমন আদায় করা হয়নি তেমনি ঐ সময়ে সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়নি।