মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদ উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কারো কারো মতে, নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বিষয়টিতে হাত ধুয়ে ফেলেছে এবং সেটি যেন আসিয়ানের (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট) হাতে তুলে দিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘নতুন গৃহযুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যাতে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
ইসমাইল সাবরি আরও বলেন, আসিয়ানের ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ প্রস্তাবকে নতুন করে প্রাণ দেওয়া দরকার। ঐ প্রস্তাবে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ, একজন বিশেষ দূত নিয়োগ এবং সব অংশীজনকে নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আসিয়ানের অন্যতম সদস্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসিয়ানের ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ প্রস্তাব বাস্তবায়নে কোনো অর্থপূর্ণ অগ্রগতি না থাকায়, বিশেষ করে মিয়ানমারের জান্তার দিক থেকে হতাশ মালয়েশিয়া। বর্তমান রূপ নিয়ে আসিয়ানের ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ আর চলতে পারবে না।
মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠ মালয়েশিয়া। তারা শুরু থেকেই মিয়ানমার জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) সঙ্গে আলোচনায় বসতে আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরও ক্ষমতা ছাড়ার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণার জন্য মিয়ানমারের জেনারেলদের চাপ দিচ্ছে।