পাবনার ঈশ্বরদীতে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে পৌর এলাকার পশ্চিমটেংরী বাবুপাড়ার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই গৃহবধূর নাম সোনিয়া খাতুন (২২)। সে ঝিনাইদহ জেলার মেহেশপুরের হামিদপুর গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে। সোনিয়া ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করতেন।
বাড়ির মালিক একরাম আলী বুদু বলেন, ‘বুধবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তাঁর আত্মীয়স্বজনরা এসে দ্বিতীয়তলার একটি ফ্লাট ভাড়া নেয়। রাতে রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮দিকে বাসার দরজা খোলা দেখে ভেতরে ঢুকে দেখতে পাই সোনিয়ার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ সময় তার পরনে বোরকা ছিল। গলা ও পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।’
সোনিয়ার খালাতো বোন নারগিস জানান, সোনিয়া বুধবার তাকে মোবাইল ফোনে জানিয়েছে তার স্বামী রুবেল সৌদি আরব থেকে এসেছে। রুবেল আসার পর বুধবার দুপুরে তারা বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একজন মোবাইল ফোনে সোনিয়ার মৃত্যুর খবর তাকে জানায়।
ঈশ্বরদী থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সোনিয়ার স্বামী রুবেল পলাতক রয়েছেন।’
পাবনা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, ‘সোনিয়ার গলায় ও পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনা সিআইডি ও পিআইবি পুলিশের সদস্যরা আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’