শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

স্বপ্নাদের সাদরে বরণ করলো রংপুর

আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:২২

সাফজয়ী নারী ফুটবলার রংপুরের সিরাত জাহান স্বপ্না, ঠাকুরগাঁওয়ের স্বপ্না রানী, সোহাগী কিসকুকে সানন্দ্যে বরণ করে নেওয়া হয়েছে তাদের নিজের এলাকায়।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ঢাকা থেকে বিমানযোগে তারা নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আসেন। এ সময় বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ আজাদ সহ অন্যরা তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তাদের বরণ করে নেওয়ার পর ছাদখোলা জীপ গাড়িতে স্বপ্নাসহ ৩ সাফ জয়ী নারী ফুটবলারকে রংপুর নগরী প্রদক্ষিণ করানো হয়। এরপর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে তাদের সংবধর্না দেন জেলাপ্রশাসন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। এরপর বিকেলে রংপুর সদর উপজেলার সদ্য পুস্করিনী নয়াপুকুর স্টেডিয়ামে স্বপ্নাকে সংবর্ধনা প্রদানসহ একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে।

ছবি: ইত্তেফাক

সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় রংপুরের সিরাত জাহান স্বপ্না সাফ জয়ের ১০ দিন পর রংপুরে ফিরে সাংবাদিকদের খুশির সংবাদ জানিয়েছেন। তারকা এই খেলোয়ার বলেন, রংপুরের মানুষ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। এভাবে বরণ করে নেওয়া আমাকে সামনে ভালো করার জন্য অনুপ্রানিত করবে। বিদেশি ক্লাবে
খেলার জন্য মৌখিকভাবে ৭ জনকে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে আমার নামও রয়েছে। আমিও বিদেশের মাঠে ফুটবল খেলবো ইনশাআল্লাহ।

স্বপ্না সাংবাদিকদের বলেন, যখন আমি প্রথম ফুটবল খেলা শুরু করেছিলাম, তখন এলাকার অনেকে বাধা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের সমাজের পুরুষরা চায় মেয়েরা একটু পিছিয়ে থাকুক। এখন আমার সাফল্যে তারাও আনন্দ প্রকাশ করছে। পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সামনে আমাদের আরও ভালো করতে হবে।

ছবি: ইত্তেফাক

ঠাকুরগাঁওয়ের ফুটবল কন্যা সাফজয়ী খেলোয়ার স্বপ্না রানী রায় বলেন, শিরোপা ঘরে আনতে পেরে আমরা গর্ববোধ করছি। দেশের সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।ফুটবল খেলার শুরুতে অনেক বাধা এসেছে। হাফ প্যান্ট পরে মেয়েরা ফুটবল খেলছে বলে গ্রামের মানুষেরা কটূক্তি করেছে। এতেও আমরা থেমে থাকিনি। স্কুলপর্যায়ে খেলার সময় স্যারেরা অনেক সাপোর্ট করেছেন। এখন সবাই উৎসাহ দিচ্ছেন।

সাফজয়ী আরেক ফুটবলার সোহাগী কিসকু বলেন, সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গোটা দেশের মানুষ আমাদের চিনেছে। আমরা চাই গ্রামের নারী ফুটবলাররা যেন গ্রামে খেলার সুযোগ পায়।

এ সময় রংপুর বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুর আহম্মেদ আজাদ,রংপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি, স্বপ্নার প্রথম ফুটবল প্রশিক্ষক হারুন অর রশিদ সহ রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা এবং ক্রীড়ানুরাগী সংগঠকরা উপস্তিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/এসএস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন