ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে স্টেডিয়ামের সংঘর্ষ ও পদদলিত হয়ে প্রায় ১৭৪ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরো আহত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন।
শনিবার (১ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের একটি স্টেডিয়ামে জাভানিজ ডার্বিতে মুখোমুখি হয় আরেমা-পার্সেবায়া। ম্যাচটিতে ২-৩ গোলে হেরে যায় আরেমা। দল হারার পর আরেমার সমর্থকেরা মাঠে নেমে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে ভিড়ে পদদলিত হয়ে অনেকের প্রাণহানি ঘটে।
এমন ঘটনাকে ইন্দোনেশিয়ার কলঙ্কিত অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছে ইন্দোনেশিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
ফুটবল বিশ্বে এমন কলঙ্কিত ঘটনা আরো রয়েছে। ১৯৬৪ সালে পেরুর রাজধানী লিমাতে অলিম্পিকের বাছাইপর্বের খেলায় মুখোমুখি হয় পেরু-আর্জেন্টিনা। এই ম্যাচে সংঘর্ষে ও পদদলিত হয়ে নিহত হন প্রায় ৩২০ জন ও ১ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।
এছাড়া ১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের হেইসেল স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় লিভারপুল ও জুভেন্টাস। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে গ্যালারীর দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে প্রায় ৩৯ জনের প্রানহানি ঘটে। এই ঘটনায় আরো আহত হন প্রায় ৬০০ জন।
১৯৮৯ সালে ইংল্যান্ডের এফ এ কাপের সেমিফাইনালে নট্যিংহাম ফরেস্টের বিপক্ষে খেলতে নামে লিভারপুল। ইংল্যান্ডের হিলসবরো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে সংঘর্ষে প্রায় ৯৭ লিভারপুল সমর্থক নিহত হন।
এই ঘটনাগুলো ফুটবল ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত।