আজ মহানবমী। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়েছে মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা।
পুরোহিতদের মতে, মহানবমীতে ভক্তদের দেওয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হবে দুর্গাদেবীর। এছাড়া নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে মহানবমীর বিহিত পূজা হচ্ছে আজ।
আরও জানা যায়, মহানবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হবে। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শনিবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে।
সনাতনী শাস্ত্র অনুযায়ী আরও জানা যায়, এবার দেবীদুর্গা জগতের মঙ্গল কামনায় গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) এসেছেন। এতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঝড় বৃষ্টি হবে এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে, স্বর্গে বিদায় নেবেন নৌকায় চড়ে। ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দশমী পূজা শুরু হবে, পুষ্পাঞ্জলি হবে সকাল ৮টায় এবং পূজা শেষ ও দর্পণ বিসর্জন হবে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের মধ্যে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র থেকে জানা যায়, এবার সারাদেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এসব মণ্ডপে শারদীয় উৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানান, এ বছরের শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে যেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উদযাপন করতে পারেন সেজন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশের মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রেপ ও পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপে পূজার চলাকালীন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন নিরাপত্তার কাজে।