শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘অনৈতিক কাজে’ বাধ্য করানোর সত্যতা পায়নি ইডেনের তদন্ত কমিটি

আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২২, ২১:৩৫

রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও পরবর্তীকালে অন্যান্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ঘটনাসমূহ এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু শিক্ষার্থীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, অধ্যাপক কাজী আতিকুজ্জামান, অধ্যাপক সুফিয়া আখতার এবং অধ্যাপক মেহেরুন্নেসা মেরীর সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

এতে বলা হয়, প্রতিবেদনে কোনো শিক্ষার্থীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে। এছাড়া সিট বাণিজ্য ও মারামারির ঘটনাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কলেজ প্রশাসন বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রেষারেষির জের ধরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সমর্থকদের সঙ্গে সহ-সভাপতিদের সমর্থকরা সংঘাতে জড়ায়। দুই পক্ষের মারপিটে কলেজ শাখার সভাপতিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এরপর ওই দিন রাতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক না থাকলেও ১০ জন সহ-সভাপতি রয়েছেন। তারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধিতা করছিলেন। দুই পক্ষের সংঘাত চলাকালে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সামিয়া আক্তার বৈশাখীসহ কয়েকজন অভিযোগ তুলেছিলেন, রীভা ও রাজিয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন। এসব অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য।

ইত্তেফাক/এএএম