শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

হঠাৎ বাড়ছে তিস্তার পানি, বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই 

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২২, ০৯:২২

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বেড়ে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে তিস্তা চরের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। পাশাপাশি তিস্তা চর এলাকায় কয়েক হাজার একর আমন ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। 

বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৪৬ বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । যা (স্বাভাবিক ৫২ দশকিক ৬০) বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রেকর্ড করা হয়।

জানা গেছে, গত দুই দিন ধরে উজানের পানি ও ভারী বর্ষণের কারণে আবারও তিস্তা নদীর পানি বাড়ছে।ফলে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা সিন্দুর্না, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোংগাডারা, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানি প্রবেশ করেছে। এতে কৃষকের কয়েক হাজার একর পাকা ধান খেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

এদিকে, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সানিয়াজান, সিঙ্গীমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এলাকায় জলাবন্ধতা দেখা দিয়েছে।

তিস্তা চরের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানান, তিস্তার নদীর পানিতে ধান খেত তলিয়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কাঁচা ধান কীভাবে কাটবো তা নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছি।

হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মফিজার রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবারও তিস্তার পানি বাড়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে চর এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। পানি বাড়লে অনেক কৃষকের ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, দুপুর থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। আবারও বন্যা দেখা দিলে তিস্তাপাড়ের কয়েক হাজার একর ধান ক্ষেত নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে তিস্তাপারের কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দ্দৌলা জানান, বুধবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বাড়ছে। এতে দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্ট তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৪৬ বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি পাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে বলে তিনি দাবি করেন।

ইত্তেফাক/কেকে