শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৩:০২

সেপ্টেম্বরে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস সরকার ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেছিল। তবে গত এক মাসে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের শেষ কার্যদিবস শেষে সরকারের ব্যাংক খাতে নিট ঋণ ১২ হাজার ৫২৬ কোটি বেড়ে স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা। এক মাস আগেও এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে সরকার ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে ১৫ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ না নিয়ে উলটো পরিশোধ করেছিল সরকার। অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ব্যাংক থেকে সরকারের নিট ঋণ ৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকায়। গত জুন শেষে স্থিতিছিল ২ লাখ ৭০ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকার ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকার বেশি। আগের অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৭ হাজার ১৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ৬ হাজার ৬২৫ কোটি ৩২ টাকা। সঞ্চয়পত্রের মূল টাকা ও মুনাফা পরিশোধের পর এ খাতে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৯৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বেশির ভাগ পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সরকারি কেনাকাটায়ও পড়েছে। তবে আয় সেহারে বাড়ছে না। আবার ব্যাংকের বাইরে সঞ্চয়পত্র থেকেও সেভাবে ঋণ পাচ্ছে না সরকার। যে কারণে ব্যয় সংকোচন নীতির মধ্যেও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ বাড়ছে।

হঠাৎ সরকারের ঋণ বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, সরকারের খরচ বেড়েছে। ব্যয়ের চেয়ে আয় কম হওয়ায় বাড়তি অর্থের চাহিদা মেটাতে এখন ব্যাংক থেকে ঋণ করছে। তবে সরকার তিন মাসে যে পরিমাণ ব্যাংক ঋণ নিয়েছে তা তাদের লক্ষ্যের চেয়ে বেশি নয়। তাই এ ঋণ নিয়ে তেমন শঙ্কার কারণ নেই।  

 

 

ইত্তেফাক/ইআ