শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গারো পাহাড়ে আলোর মিছিল

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৪:৪৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মেঘালয় রাজ্যের কূলঘেষাঁ বারমারী গারো পাহাড়ের সাধুলিওর খ্রিস্টধর্ম পল্লীতে আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।  

এতে প্রায় ২৫ হাজার তীর্থযাত্রী দুই হাতে দুইটি করে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। দুই ঘণ্টা ধরে চলা আলোর মিছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা করে। 

তীর্থ কতৃপক্ষ সূত্র জানান, ‘মিলন-অংশগ্রহণ ও প্রেরণ কর্মে মা মারিয়া’ এই প্রতিপাদ্যের উপর ভিত্তি করে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী ২৪তম বার্ষিক ফাতেমা রাণীর তীর্থ উৎসব অনুষ্ঠিত হলো। এ উৎসবকে ঘিরে বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ সারা দেশের খ্রিস্টানদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ে গেছে।

তীর্থ উৎসবের সমন্বয়কারী রেভান্টে ফাদার তরুণ বনোয়ারী জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারী সাধুলিও’র খ্রিস্টধর্মপল্লীতে বিগত ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরের অনুকরণে বারোমারী তীর্থ স্থানটি সাজানো হয়। এটি রোম্যান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের অন্যতম ও বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তরা এখানে সমবেত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন মূলসুরের উপর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালন করে। 

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উপাসনা করার জন্য এখানে নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮ ফুট উচুঁ দেশের সবচেয়ে বড় মা মারিয়ার মূর্তি। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়। 

করোনা ভাইরাসের কারণে গতদুই বছর সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর জাকজঁমকপূর্ণভাবে ২৪তম বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হলো। এই উৎসবে পাপ স্বীকার, মহাখ্রিস্টযাগ, মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রামেন্তের আরাধনা, নিরাময়, নিশিজাগরণ ও জীবন্তক্রশের পথসহ নানা অনুষ্ঠানমালা পালিত হয়। 

বারমারী খ্রিস্টধর্মপল্লীর একাধিক সূত্র জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার বনানীর মেজর সেমিনারীর প্রাক্তন রেক্টর রেভারেন্ট ফাদার গাব্রেল কোরাইয়া। এছাড়াও দেশি-বিদেশি প্রায় ২৫ হাজার তীর্থযাত্রীর আগমন হয়েছে। 

শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার কামরুজ্জানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ, পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদল দায়িত্ব পালন করেন। 

এছাড়া তীর্থস্থান এলাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখতে উৎসবের সার্বিক কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। 

ইত্তেফাক/পিও