মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

বিশ্ব উষ্ণায়ন: ইউরোপের তাপমাত্রা লাফিয়ে বাড়ছে

আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২২, ১৪:৩৮

গত দুই দশকে গোটা বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ হারে তাপমাত্রা বেড়েছে ইউরোপের। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।গোটা বিশ্বেই তাপমাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে। তবে ইউরোপের গড় তাপমাত্রা বাকি বিশ্বের চেয়ে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। 

১৯৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি দশকে ইউরোপের তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এই সময়ের মধ্যেই ইউরোপের দেশগুলি কার্বন নিঃসরণ রেকর্ড মাত্রায় কমিয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত সংস্থা ডাব্লিউএমও এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস যৌথ সমীক্ষা করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানেই বিস্তারিতভাবে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

গলছে হিমবাহ রিপোর্টে বেশ কয়েকটি বিপদের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ইউরোপের অ্যালপাইন হিমবাহগুলি ক্রমশ গলতে শুরু করেছে। ১৯৯৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অ্যালপাইন হিমবাহগুলি গড়ে ৩০ মিটার গলে গেছে। এই হারে হিমবাহ গলতে থাকলে বড় বিপর্যয় হতে পারে। গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদরও গলছে। যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ উঁচু হচ্ছে। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউরোপ গোটা বিশ্বের সামানে উষ্ণায়নের প্রমাণ তুলে ধরছে। স্পষ্ট করে দিচ্ছে, যথেষ্ট তৈরি থাকা সত্ত্বেও ইউরোপ উষ্ণায়নের সঙ্গে যথেষ্ট লড়াই করে উঠতে পারছে না। ২০২১ সালের গ্রীষ্মে প্রথম গ্রিনল্যান্ডে বৃষ্টি হয়েছে। তুষারপাতের জায়গায় বৃষ্টির জল পড়েছে বরফের চাদরের উপর। যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। 

এছাড়াও ইউরোপে একের পর এক তাপপ্রবাহ, বন্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পশ্চিম এবং দক্ষিণ ইউরোপে এধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত উষ্ণায়নের কারণে পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, ক্ষতি হয়েছে ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের। এরমধ্যে ৮৪ শতাংশ ঘটনাই হয় বন্যা, নয় ঝড়। কার্বন নিঃসরণ কমেছে অথচ এই সময়পর্বের মধ্যেই ইউরোপের দেশগুলি গড়ে ৩১ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমাতে পেরেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। 

এই শতকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইউরোপ কার্বন-নিউট্রাল বা কার্বন নিরপেক্ষ জায়গায় পৌঁছাতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইত্তেফাক/এএইচপি