টি-২০ বিশ্বকাপে বাঁচা মরার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৬ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে প্রোটিয়া পেসার ওয়ায়েন পার্নেলের বলে বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ৪ রানে ৪ বলে ৪ রান করে আউত হন রিজওয়ান। এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ হারিস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ৩৪ রান তুলে শুরুর ধাক্কা কিছুটা সামাল দেন হারিস।
কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ১১ বলে ২৮ রানের মারমুখি ইনিংস খেলে আউট হন হারিস। তার বিদায়ের পর মাত্র ৫ রানের মধ্যে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় পাকিস্তান। দলীয় ৪০ রানে ১৫ বলে মাত্র ৬ রান করে বাবর আজম ও দলীয় ৪৩ রানে ৬ বলে ২ রান করে আউট হন শান মাসুদ। দলীয় ৪৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মেদ নেওয়াজ মিলে ৫২ রান তুলে চাপ সামাল দেন।
কিন্তু দলীয় ৯৫ রানে আবারও উইউকজেট হারায় পাকিস্তান। ২২ বলে ২৮ রান করে সামসির বলে এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন তিনি। নেওয়াজের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন শাদাব খান। ক্রিজে এসেই মারমুখী ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনি। এর মাঝে ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন ইফতিখার আহমেদ।
অন্যদিকে মারমুখি ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ফিফটি করেন শাদাব খান। ইনিংসের ১৯ তম ওভারে নর্থজেকে পর পর দুই বলে দুই ছক্কায় ফিফটি তুলে নেন শাদাব। ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৭৭ রানে ২২ বলে ৫২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান শাদাব। তার বিদায়ের পর ক্রিজে এসেই আউট হন মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১ বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান তিনি।
এরপর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই রাবাদাকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে রুশোর দারুণ ক্যাচে আউট হন ইফতিখার। ৩৫ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হন হারিস রউফ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এনরিখ নর্থজে নেন ৪ টি উইকেট।