সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
দৈনিক ইত্তেফাক

দাম নাগালের মধ্যে

মাছবাজারে অর্ধেক ইলিশই ডিমওয়ালা 

আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৩৫

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাছবাজারগুলোয় গত চার দিন ধরে যেসব ইলিশ আসছে, সেগুলোর অর্ধেকই ডিমওয়ালা। স্বাদ কম হওয়ায় এসব ডিমওয়ালা ইলিশ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ এলেও, ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা। 

ইলিশ মাছ। ছবি- সংগৃহীত

জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে মেঘনা নদীতে মাছ ধরা শুরু করে রায়পুরের ৮ হাজার জেলে। গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার পর্যন্ত উপজেলার আলতাফ মাস্টার ঘাট, সাজু মোল্লা ঘাট, হাজীমারা বাজার, নতুন বাজার ও পুরান বেড়ির মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেগুলোর একটা বড় অংশ ডিমওয়ালা। ডিমওয়ালা মাছের দাম তুলনামূলক কম। 
তবে অধিকাংশ ক্রেতা ডিম ছাড়া ইলিশ খুঁজছেন। সেগুলো দ্রুত শেষও হয়ে যাচ্ছে। নতুন বাজারের মাছবিক্রেতা তমাল বলেন, এক কেজি ওজনের ডিমওয়ালা ইলিশ ৭৫০-৮০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৪০০-৪৫০ টাকায় ও ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ ৬৫০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম ছাড়া ইলিশের দাম ওজনভেদে ১০০-১৫০ টাকা বেশি।

ইলিশ মাছ। ছবি- সংগৃহীত

এ বিষয়ে রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, এবার নদীপারের সিংহভাগ জেলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় ইলিশের ডিম ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। তিনি জানান, এমনিতে সারা বছর ইলিশ কমবেশি ডিম ছাড়ে। বেশি ডিম ছাড়ে প্রজনন সময়ে। অর্থাৎ অক্টোবর মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে। এই বছর ঐ সময়টা ছিল বেশি পরিমাণে ডিম ছাড়ার সময়। তাই এখন বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ আসায় উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা যা আশা করেছি, এবার তার চাইতে বেশি ডিম ছেড়েছে ইলিশ।

ইত্তেফাক/এমএএম