শুনতে অবাক লাগতে পারে। আবার অনেকের লাগবে না। কয়লা দিয়েও রূপচর্চা হয়? কয়লা দিলে আবার কালো দাগ পড়বে না ত! নাহ। আমরা কাঠকয়লার কথা বলছি না। বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত অ্যাকটিভেটেড চারকোল আপনার ত্বকের পরিচর্যায় সহায়ক হতে পারে। কিন্তু কেন এদের ব্যবহার করবেন? তা জানানো যাক।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই
সুন্দর পেতে হলে আমাদের নানা প্রসাধনীর সাহায্য নিতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব প্রসাধনীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অ্যাকটিভেটেড চারকোলে এমন কিছু নেই।
প্রাকৃতিক ক্লেনজার
অ্যাকটিভেটেড চারকোল আপনার ত্বকের ক্ষতিকর উপাদান শুষে নিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে। বাড়িতে এক চা-চামচ অ্যাকটিভেটেড চারকোল, আধ-চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার এবং সামান্য পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ করে নিতে পারেন। এই ফেসওয়াশ সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করবেন। বেশি ব্যবহার করবেন না। ভালো ফল পাবেন।
স্কিন পোরস কমাতে
প্রতিদিনের ময়লা, ব্যাকটেরিয়া, ক্ষতিকর ক্যামিকেলে আমাদের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত ময়লা জমে একসময় এসব আকারে বড় হতে শুরু করে। ত্বকের এমন সমস্যা দূর করতে ১ চা-চামচ চারকোল, ১ টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করলেই স্কিন পোরসের সমস্যা কমবে।
ব্রণ কমাতে
পরিমাণমত মধু ও অ্যাকটিভেটেড চারকোল পাউডার মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। কটন বাড দিয়ে পেস্ট ব্রণতে লাগিয়ে রাখুন। শুকোবার পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ কমবে। আর ব্রণ প্রতিরোধ করতে অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে চারকোল পাউডার মিশিয়ে নিন। সেই ফেসপ্যাক ব্যবহারে উপকার পাবেন।
ব্ল্যাক হেডস দূর করতে
ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা অল্পবিস্তর সবারই হয়। চারকোল দিয়ে আপনি সহজেই ব্ল্যাক হেডস দূর করতে পারবেন। কাজটি সহজ। একটি ছোট পাত্রে ১ চা-চামচ নারকেল তেল, সামান্য বেকিং সোডা, এশেনশিয়াল অয়েল ও চারকোল পাউডার মিশিয়ে পেস্ট করুন। পেস্ট নামের উপরে ও দুপাশে ঘন করে লাগান। পেস্ট শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে সহজেই ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।