চার বছর পর মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া রুটে আবার চালু হয়েছে ফেরি চলাচল। এতে গজারিয়া উপজেলা থেকে জেলা শহরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হলো। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব কমবে।
ফেরি ‘স্বর্ণ চাপা’ গজারিয়ার কাজীপুরা ঘাট থেকে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা রওনা হয়ে ২০ মিনিটের মধ্যেই মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের চর কিশোরীগঞ্জ প্রান্তে পৌঁছায়। প্রথম ট্রিপে ফেরি চারটি যান পার করে। মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া মেঘনায় এই ফেরি সার্ভিস ২০১৮ সালের ৩ জুন উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই পাড়ে ভালো রাস্তা না থাকায় যানবাহনের অভাবে তিন মাস পরই ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে এখন দুই পাড়েই উন্নত সড়ক। অপরদিকে চালু হয়েছে পদ্মা সেতু। তাই এই ফেরি সার্ভিস বদলে দিবে এই অঞ্চলের অর্থনীতি। ফেরি চালুতে উচ্ছ্বসিত দুই পাড়ের মানুষ।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, যানবাহন চাপ বৃদ্ধি পেলে পর্যায়ক্রমে ফেরিও বাড়ানো হবে। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে ঢাকা-মাওয়া বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের দূরত্ব কমবে। রাত দিন ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের যানবাহন পারাপার করা হবে। চার বছর পর চালু হওয়া দেড় কিলোমিটারের দূরত্বের এই রুটে চলবে তিনটি ফেরি। এতে গাজারিয়ার সঙ্গে দূরত্ব কমবে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার।
এ উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-৩ সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।